Messi: বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় লিওনেল মেসি, যিনি আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং স্পেনের ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার প্রাক্তন সদস্য, তার ক্যারিয়ারে বহু সফলতা অর্জন করেছেন। ২০১৬ সাল মেসির জন্য ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ বছর, কারণ ওই বছরে তিনি নানা দিক থেকে আর্থিকভাবে ও পেশাদারীভাবে অনেক কিছু অর্জন করেছিলেন। মেসির নেট ওয়ার্থ, বা তার মোট অর্থনৈতিক অবস্থা, ফুটবল জগতে অন্যতম একটি আলোচনার বিষয়।

Messi: এই নিবন্ধে আমরা ২০১৬ সালে মেসির নেট ওয়ার্থের বিশ্লেষণ করব এবং দেখব কীভাবে তার আয়, পেশাদারী সাফল্য, ব্র্যান্ডিং এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো তাকে বিশ্বের অন্যতম ধনী অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. Messi: মেসির আয়ের প্রধান উৎস

Messi: ২০১৬ সালে মেসির মোট আয় ছিল কয়েকটি প্রধান উৎস থেকে। তার প্রধান আয়ের উৎস ছিল:
- ফুটবল চুক্তি: বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি ছিল অন্যতম বৃহৎ ও লাভজনক চুক্তি।
- স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল: মেসির বিভিন্ন বড় স্পন্সর যেমন অ্যাডিডাস, পেপসি, গিলেট, ও কিছু অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি ছিল।
- অন্যান্য ব্যবসায়িক উদ্যোগ: মেসি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে আরও অনেক আয় করেছেন, যেমন রেস্তোরাঁ, হোটেল, এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মালিকানায় অংশগ্রহণ।
২. মেসির ফুটবল চুক্তি

Messi: ২০১৬ সালে, মেসি বার্সেলোনার সাথে তার নতুন চুক্তি সম্পাদন করেন, যা তাকে এক বছরের জন্য প্রায় $৫০ মিলিয়ন আয় করতে সহায়তা করেছিল। তার বেতন এবং বোনাস তার চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। ২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী, মেসি প্রতি বছর প্রায় $৩০ মিলিয়ন বেতন পেতেন, পাশাপাশি অতিরিক্ত পারফরম্যান্স বোনাসও তাকে আয় করার সুযোগ দিত।
মেসির ফুটবল চুক্তি বিশ্লেষণ:
চুক্তির দিক | পরিমাণ ($) |
---|---|
বার্সেলোনার বার্ষিক বেতন | ৩০ মিলিয়ন |
পারফরম্যান্স বোনাস | ২০ মিলিয়ন |
চুক্তির মোট পরিমাণ | ৫০ মিলিয়ন |
৩. স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল

Messi: ২০১৬ সালে, মেসির স্পন্সরশিপ চুক্তি তাকে আরও অনেক টাকা আয় করার সুযোগ দিয়েছিল। তার প্রধান স্পন্সর হিসেবে ছিল অ্যাডিডাস, পেপসি, গিলেট, হুয়াওয়ে, এবং কোকা-কোলা। এর পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন, যা তাকে লাখ লাখ ডলার আয় করার সুযোগ দেয়।
Messi: মেসির ব্র্যান্ডিং তাকে তার ক্যারিয়ারের বাইরে আরও অনেক সুযোগ এনে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে তার নিজস্ব লুকস (লাইফস্টাইল) ব্র্যান্ড, এবং বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনারদের সাথে কাজ করার সুযোগ।

মেসির স্পন্সরশিপ আয়ের বিশ্লেষণ:
ব্র্যান্ড | আয় ($) |
---|---|
অ্যাডিডাস | ১২ মিলিয়ন |
পেপসি | ৮ মিলিয়ন |
গিলেট | ৭ মিলিয়ন |
হুয়াওয়ে | ৬ মিলিয়ন |
কোকা-কোলা | ৫ মিলিয়ন |
৪. অন্যান্য ব্যবসায়িক উদ্যোগ

মেসি তার ফুটবল ক্যারিয়ারের বাইরে আরও কিছু ব্যবসায়িক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১৬ সালে, মেসি তার প্রথম রেস্তোরাঁ “Messi’s” খুলেছিলেন। এছাড়া, তিনি হোটেল ও বিভিন্ন প্রপার্টি খাতে বিনিয়োগ করেছেন। তার ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো তাকে ফুটবলের বাইরে আরেকটি আয়ের উৎস সৃষ্টি করেছে।
মেসির ব্যবসায়িক আয় বিশ্লেষণ:
ব্যবসা | আয় ($) |
---|---|
রেস্তোরাঁ | ৫ মিলিয়ন |
হোটেল | ৪ মিলিয়ন |
প্রপার্টি | ৩ মিলিয়ন |
৫. মেসির নেট ওয়ার্থ

২০১৬ সালের শেষে, মেসির মোট নেট ওয়ার্থ ছিল প্রায় $৩৫০ মিলিয়ন। এর মধ্যে তার ফুটবল চুক্তি, স্পন্সরশিপ এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো মিলিয়ে এই পরিমাণে পৌঁছেছিল। মেসি তার আয়ের এক বড় অংশই সামাজিক উন্নয়ন এবং দাতব্য কাজের জন্য ব্যবহার করেন, যেমন তার প্রতিষ্ঠিত লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন।
৬. মেসির দাতব্য কাজ

মেসি ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি দাতব্য কাজে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত। ২০১৬ সালে, তিনি তার নিজস্ব ফাউন্ডেশন “Leo Messi Foundation” এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কাজ করেছেন। তার ফাউন্ডেশনটি মূলত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে থাকে।
মেসি তার আয়ের একটি বড় অংশ দান করেন, যা তাকে শুধু আর্থিক দিক দিয়ে নয়, সামাজিকভাবে এবং মানবিকভাবে শ্রদ্ধার্হ বানিয়েছে।
৭. মেসির প্রতিযোগিতা

২০১৬ সালে মেসির নেট ওয়ার্থ প্রায় $৩৫০ মিলিয়ন ছিল, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলারদের মধ্যে একটি জায়গায় বসিয়েছে। তার প্রতিযোগী হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছিলেন, যার নেট ওয়ার্থ ছিল প্রায় $৩০০ মিলিয়ন। তবে, মেসি স্পন্সরশিপ, ফুটবল চুক্তি এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে ক্রমাগত তার প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর চেয়ে বেশি আয়ের মধ্যে ছিলেন।
৮. উপসংহার

মেসির ২০১৬ সালের নেট ওয়ার্থ একটি বাস্তব উদাহরণ যে কীভাবে একজন ফুটবলার শুধুমাত্র তার খেলা দিয়ে নয়, বরং স্পন্সরশিপ, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, এবং দাতব্য কাজের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন। মেসি তার কর্মজীবনেই অনেক বড় সাফল্য অর্জন করেছেন, তবে তার অর্থনৈতিক সাফল্য তার ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেসির ২০১৬ সালের নেট ওয়ার্থ প্রমাণ করে যে তার আর্থিক সাফল্য কেবল তার খেলা নয়, বরং তার চৌকস ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও ইমেজ নির্মাণের ফল। ভবিষ্যতে, যদি তিনি এই ধারায় চলতে থাকেন, তবে তার নেট ওয়ার্থ আরও বেড়ে যেতে পারে।